Wednesday, 29 February 2012

মেঘলা যখন

সেই তাঁত শাড়িটির নিখুঁত বুনন বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে হেঁটে যেতে পারত সবুজ সিঁড়ি ধরে, নিপুণ দুটি হাতে খুব সহজেই ধরা দিত গোলাপি সুতোরা, তাঁতকলের হলুদ সাঁকো বেয়ে মাটির গন্ধ সাজেই সেজে আসতো তারা । সার্থকতার দিনলিপি থেকে তাদের সারিবদ্ধ কণ্ঠস্বরে কতবার পেয়েছি সাঁওতালি মাদল । কিন্তু ক্রমশ ঘন রাতে ঝিল্লির বেপরোয়া গতি হঠাৎ হোঁচট খেয়ে বুঝিয়ে দেয় দ্বিখন্ডিত শাড়িটির পাটিগণিত । এখন নীরব সেলাইকলও । তাই নি:সঙ্গ হাতের প্রতিটি রোমকূপ ভাবে রাতজাগা ঘামের স্বাদ । আজ দাওয়ায় চুপচাপ বসেছিলাম তখনই হাতের প্রতিটি রেখাকে সাফ জানিয়ে দিলাম :


পারো তো প্রজাপতির সুতোয় সেলাই করে দিও শাড়িটা,আমি এখন.....   

No comments:

Post a Comment