Wednesday 29 February 2012

অথবা চামচিকির ডানা

বাড়তে বাড়তে সময় ক্রমশ বেড়েই যায়, ধানের ঠোঁট ছুঁয়ে ঘুরে ফিরে কয়েকটা ছ্যাঁচড়া ফড়িং, ওদের ফোঁটা ফোঁটা চোখে আপাত পিছিয়ে আসার মতো কোনো কিছুই পিছানো নয়, তবু কাঁপা কাঁপা মেঘ সহ সদ্য রোয়া জমির ঘোলাটে জলে দ্রুত লুকোতে চাওয়া ছোট্ট কাঁকড়ির মতো ছুটে বর্ধমান লোকাল, উড়ে আসে পানকৌড়ি, ভেসে যায়, ( একটি বিজ্ঞাপন: এবং পাতার কান্না, ক.পা.-২০৫ ) তার আগেই স্পষ্ট ভেসে এসেছে তালবাগানের তালপড়ার শব্দ, ভুলে গেছি চশমার কথা, শুধু দেখি পানকৌড়ির ঘন কালো কীভাবে বিকেলটাকে তালরুটির মতো ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায়, তখনো গান গেয়ে যায় রেডিওর আলাপন, দেখেছিস অর্ণব তোর চশমার কাচ ট্রেনের জানলা থেকে শুষে নিচ্ছিল সবুজ সবুজ গাছ, টেরা কিংবা গোঁয়ার প্লাটফর্ম, সুদূরে ঘুমিয়ে পাটের বন, চামচিকির ডানার মতো কেউ কেউ তারই পাশে রেজা ধানজমি রুয়ে নিচ্ছে দ্রুত; আর আমি আলপাশে পিঁপড়ে বাসার দিকে ...


মৃত খেজুর গাছের চুড়োর আশপাশে ছোটো ছোটো পাখিদের উড়োউড়ির মতো ঘুমিয়ে আসে কেউ, আর জমির লাল পতাকা ধরে যারা বেরিয়েছে হাঁসের খোঁজে, তারাও অস্বস্তিতে পড়ে গোবরে পা দিয়ে, আর গোবরপোকারা 

No comments:

Post a Comment