Wednesday 29 February 2012

তার মতো, আমার মতো

বাসভূমির ধারে সারবাঁধা চিত্তবেড়ার আহারময় পথে ব্যস্ত পানঢোড়া, তারই পাশাপাশি আমরা বাস করি, বাঁশপাতার বাঁশি ঠোঁটে ল্যাংটো শিশুটা কোনো অপরিচিত আনন্দে চোখ বদলায়, হঠাৎই দৌড়ে গিয়ে ঢিল ছুড়ে পরিচ্ছন্ন সাপটির দিকে, আসলে চোখের ভেতর অনেক রকম চোখ থাকে, আবার নতুন চোখের কথা ভেবে চিত্তপাতার মাঝবরাবর ফাটিয়ে আমিও ইচ্ছেমতো ক্লিক করেছি মনের সাইট-এ; ঘাটকূলের ধারে আকাশ থেকে একজট মিটালি সাপ আছড়ে পড়লে, বিস্ময়ে ছিটকে যেতাম দৈবশক্তির কথা ভেবে, কেমন কিলবিলিয়ে দৌড়ে যেত ওরা, ( একটি ছোটো বিজ্ঞাপন: লিখছি কবি, সবি, অপু ও নন্দুর প্রতি উপহার স্বরূপ ) শুকনো তালপাতার মতো চোখের পাতা যাদের, দুনিয়া ডটকমের উড়ানশৈলীকে অস্বীকার করেও তারা বুঝে নেয় টেলিফোনের রিং ঠিক কোন শোনপাপড়িওয়ালার ঘন্টাধ্বনির মতো, মাঝে মাঝে ভাবি, সবুজ সবুজ পাতায় লাউডগা সাপের মতো না হয়ে ...


শ্রবণশক্তিহীন সাপও যখন মাতালপ্রায় হয়ে আসে, তখন দু-একটা বৃষ্টির ফোঁটাও না হয় ঢুকে পড়ুক সর্পগন্ধা পাতার ভেতর, কথা বলুক প্রতিটি বৃষ্টি কণা, তবুও প্রতিটি কণ্ঠস্বর বুঝে নেওয়ার আগে, খুঁজে নেব   

No comments:

Post a Comment