Wednesday 29 February 2012

তবুও আড়াই দিন

শেষের বিন্দু বিন্দু প্রেরণাও তোমার আমার পাড়ার লোক, আমাদের চলাফেরার গা ঘেঁষে ঘুরে বেড়ায় প্রাণের কামড়; জ্বালা পিঁপড়ের লম্বা লাইনে জিভ কেটে পা রাখা খুকুর, বেখেয়ালে আভঘেটার সময় আঁতকে উঠেও পিঁক  পিঁক ক্যালকুলেট হয়ে যায় পার্বণের হিসাব; খইঢেরার আড়াইদিন পরই শাকপুজো, ব্যস্ত মা ঠাকুমারা, সাত শাকের শরীর ছুঁয়ে ছুঁয়ে আলাদা হয়ে যায় দুপুর বিকেল সন্ধ্যা; ইস্কুল শেষে বাবু নন্দু বা মনির একপশলা বাজারখেলাকে চটকে খেতে চায় বিকেলের রোদ বা মায়ের বকুনি, কীভাবে যেন ধারাপাতও ঢুকে পড়েছে তালবোখা, কাঁচা কঞ্চিতে বানানো দাঁড়িপাল্লায়, নি:শব্দে ওজন হয়ে যায় সময়, সময়ের প্রতিচ্ছবি বা শিল্প; তসলালার ধারে ঢোলশাকের বন বুঝে নিয়েছে শিল্পের কোন শর্ত হয় না, যেনে গেছে প্রতিটি খোলামকুচির টাকায় কেনা যায় কচিকাঁচার মন, শৈশবের বেচাকেনার ভেতর ঘুরে ফিরে সাপুড়েদের ডুগডুগি আর গান, এমন দুপুর, যেখানে বিষধর সাপের পরিচয় নিতে নিতে পাড়ার মেয়েবৌরাও.....


দু-একটা কষদাঁত পারবে কি ভাজা সুশনিশাক আর পান্তা ভাতের কথোপকথন বুঝে নিতে, বুঝে নিক তার প্রেরণাও, সেসবের পাশাপাশি মুঠো মুঠো ডেনে মাছ ছড়িয়ে বেড়ায় সুস্বাদ, মুয়োনের চোখের পাতা ছুঁয়ে যে কোনো পেটমোটা ঢোড়া 

No comments:

Post a Comment