প্রতিটি দুপুর জানে বটের তলে পাতাদের ছায়ায় ছায়ায়
আত্মঅপহরণের সবুজ বাতাস মাড়িয়ে হেঁটে যায় রাখাল বাগাল,
কারো কারো পাতালুকানো খেলা, কারো ঘসিমখেলা, ভেল কিংবা
লুলুরা ঝুরি ধরে বটের ডালে উঠে পাখিদের চেঁচামেচি খুন করে,
দোল খায়, ( বিজ্ঞাপনটি দেখুন: পেঁচা কিংবা কাচের চুড়ি, ক.পা.
-২০১ ) আর উটকো খেয়ালে ঝপাঝপ জলে লাফ, চলে জলখেলা,
সে খবরও দুপুরের কাছে থাকে অথচ সেই বাবলাডাঙ্গার থেকে
ঠা-দৌড়ে বেচারা টাইটু-ই শুধু বলে গেলো মনাগয়লা তার তিলজমি
থেকে কার ছাগল খোঁয়াড় নিয়ে গেলো, কয়েকটা কাঠ-পিপড়ের
বোবাকণ্ঠস্বর অস্বীকার করে মাটির আঁশ কিংবা গাছের আঁশটে
গন্ধকেও, সদ্য মাটিফোঁড়া তালচারার মাথায় একটা লাল ফড়িং
গোগ্রাসে গিলে খায় দুপুরটাকে, হেথায় রবীন্দ্রসদন নেই, নন্দন নেই,
অথচ একটু দূরেই মন্তাঝোপে আর্টপেপার পেতে বসেছে একটি
মাকড়সা, দিনযাপনের স্বপ্ন ফাঁদে চুপচাপ ঠিক ঐ দুলেবৌদের মতো
সকালে চাটুনিজালের পর্ব শেষ, এখন সারের ঝোড়া নিয়ে ...
যে দুপুরে ভোটপ্রার্থীদের মতো দুটো পাঁঠার মাথায় মাথায় লড়াই,
সেখানেই বটপাতারা আশ্রয় দেয়, সাদা তিলফুলের উপর ঘুরেফিরে
কিছু কর্মী মৌ, বাতাস কারো আঁচলের মতো ছুঁয়ে যাবে
ছেলেপিলেদের, কয়েকটা ঘাসফড়িং
No comments:
Post a Comment