Tuesday 28 February 2012

যেথা টুনটুনি, সবুজ নখ

ঝিল্লি আর ব্যাঙের হলুদ কণ্ঠস্বর মাড়িয়ে সাদা কার্পেটে আঁকা হয়ে যায় 
রঙিন হারমোনিয়াম, সবার মনের কার্পেট এক নয়, তাই আলোর 
সামনে চিরকাল  ঘোরাঘুরি করে ( একটি বিজ্ঞাপন: ... রেখেছি 
আমার ভালোবাসার ডাকনাম অনি ) কিছু পিঁপড়ে কিছু বাদলপোকা, 
আর রাতের অন্ধকারে ভেজা ঘাস কিংবা আঁশটে আঁকড়ফল চুপচাপ 
হিসেব কষে যায় সারাদিনের, গাছের নীচে ঘাসের উপর বেলেল্লা 
কেঁদরাই-এর ঘোরাঘুরি, বাঁশের খুঁটির পাশে ঝুলে থাকা খড়ের বুকে 
আপনমনে গেঁথে যাওয়া বাসা সেই টুনটুনির, তার কণ্ঠস্বর জিদের 
হিসাব কি মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের মতোই ওয়েবসাইটে... সে 
সংবাদ ভ্রূক্ষেপ না করেই ওর জীবনযাত্রা এগিয়ে যায় পিচ্ছিল 
দূর্বাপথ ধরে, সারারাত মনাবাগদিরা ঝিলে ঝিলে ঘুরে বেড়ায় 
পোলুই হাতে, তবু লতানে বন চুপচাপ শুনে যায় খেজুর পড়ার 
কবাং কবাং আওয়াজ, যে কেউ যে কোনো পদশব্দের স্বাদ বিচার 
করুক, হয়তো কচুঝোপের  ভেতর থেকে ডেকে উঠবে ডাকপাখি, 
এখন ক্যাঁকরকাল্লা নয় তবু বাতাসে ভেসে বেড়াক বনকুঁদরির ঠোঁট, 
আমার ডিটিপিময় ঠোঁট লিখে যাক বজ্রপাতের মতোই কিছুকিছু 
সুস্বাদু কড়কছাতুর...


অলস লম্বাচুলের এক্সরে রিপোর্ট পড়তে জানে না টুনটুনির 
বাঁকাঠোঁট, তার ফুড়ুৎ-ফুড়ুৎ আসা যাওয়া আর একটি কালো 
তেঁতুলবিচির সবুজ নখ আঁচড় কেটে যায় অসুস্থ কবির বুকে, তবুও 
তো এক বাতাসি মেঘ, একখানা অন্ধকারকে  

No comments:

Post a Comment