Tuesday 21 February 2012

হার্ডডিস্ক বা আঁতুড়ঘর কথা



গ্রামে ফিরে দাওয়ায় চুপচাপ বসে থাকলে ব্রেনের হার্ডডিস্কে যেসব ইনফরমেশনস ফাইল হয়, মাঝে মাঝে ভ্রূদ্বয়ের মাঝবিন্দুর ভেতরকার স্ক্রিনে তাদের নিয়ে ক্রিকেট খেলতে বেশ ভালোই লাগে; বেটিং বিষয়ে সবাই যখন ব্যস্ত তখন তাদের পাশে সরিয়ে গ্রাউন্ডে নেমে পড়ে সেই লাল বোলতাটিও, সে আপনমনে কোথায় যেন উড়ে যায়, আর ফিরে এসে সো-জা কপাট কোণে, ইচ্ছে হলে সাগ্রহে দেখি তার অবাক করা আঁতুড়ঘর নির্মাণ, কেমন ব্যস্ততায় আঁশের মতো ডানা নেড়ে সুদক্ষ কাঁথমিস্ত্রী হয়েই ...., ওদের ফিনফিনে ডানার থেকে যেটুকু বাতাসের প্রাণসঞ্চার হয় সেটুকু বাতাস যদি পাঠানো যেত কোনো গর্ভপাতকেন্দ্রে তাহলে কোনো ছুরি কিংবা কাঁচির ক্যাঁচকুঁচ কান্নার আগেই লজ্জায় কুঁকড়ে যেত অসংযত লজ্জাবতীরা, আর এই পোকাটির মাতৃত্বের রসে হত মাকড়সা বা পিঁপড়েরাও হয়ে যায় ওদের সন্তান; জানি আমাদের মত আমাদের সন্তানেরাও ভেঙে দেবে ওদের মাল্টিস্টোরিড আঁতুড় বাড়ি, এশিয়ান পেন্টস লাগানো সেই দরজা দিয়েই আসবে নববধু কিন্তু তার আগে ... তোমার ফোনটা আসলে ডোবার পাড়ে ডেকে দেখিয়ে দিতাম বাঁশপাতা পচা পাঁকের থেকে বোলতাটি বিন্দু বিন্দু কাদা ঠোঁটে নিয়ে কেমন... অথচ রিং শুনে ভ্যাবলা হতে হয় প্রথমে টেলিফোনে তারপর টিভির স্ক্রিনে চোখ রেখে -- এমনটাতো কলকাতাতে প্রায়ই হয়, পাঁকের ভেতরকার ঘুরঘুটেদের টাঙ্গা হাতে মেছো ছোকরার  দ্বারা সদগতি হয় জানি কিন্তু মস্তিস্ক মধ্যস্থ অস্বস্তির ভেতরকার ঘুরঘুটেদের জন্য অথচ ... 
সিলেকসনে বাদ পড়ে যায় কেউ; কেউ আবার মাঠে নেমেও     
ক্যাচ বা বোল্ড কিংবা রান আউট, হয়তো মাঠে নেমেও কারো বদল ঘটে -- আমার তো এমনই মনে হয়, যেমন এখন মনে হচ্ছে আঁতুড়ঘর অর্থাৎ কোনো   
 . 

No comments:

Post a Comment